GEOPOTATO মৌসুম পরবর্তী অভিজ্ঞতা ও ভবিষ্যৎ কার্যকালাপ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় আলু উৎপাদনে চাষিদের পূর্বাভাস প্রদানের মাধ্যমে আলুর মড়ক (লেট ব্লাইট) রোগ প্রতিরোধ করে কৃষি উপকরণের সুষ্ঠু ব্যবহার ও অধিক ফসল উৎপাদন করা সম্ভব। এ কার্যক্রমে জিআইএস পদ্ধতির সাহায্যে আলুর মড়কের অনুকূল আবহাওয়া স্যাটেলাইট তথ্য তথা জিও ডাটা বিশ্লেষণ করে রোগটির প্রাদুর্ভাবের পূর্বেই কৃষককে পূর্বাভাস প্রদান তথা আগাম তথ্য প্রদানের ফলে কৃষক আলুর মড়ক প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে মূল্যবান ফসল রক্ষা করে লাভবান হয়েছেন। নেদারল্যান্ডের বিখ্যাত ওয়াগেনিংগন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্ল্যান্ট রিসার্চ ইন্টারন্যাশনাল এই কর্মসূচির লিড এজেন্সি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে মুন্সিগঞ্জ ও রংপুর জেলার নির্দিষ্ট আলু চাষিদের কাছে প্রাথমিকভাবে এ সেবাটি প্রদান করা হয়। রংপুরে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনষ্টিটিউট হল রুমে GEOPOTATO মৌসুম পরবর্তী অভিজ্ঞতা ও ভবিষৎ কার্যকালাপ শীর্ষক কর্মশালায় কৃষি বিশেষজ্ঞগণ এসব কথা বলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষি তথ্য সার্ভিসের আঞ্চলিক বেতার কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আবু সায়েম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. নুরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুরের উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. সরওয়ারুল হক, mPower Social Ltd. লোকাল কোঅর্ডিনেটর , পরামর্শক কৃষিবিদ মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ। উপকার ভোগী চাষি, প্রদর্শনী, চাষি, বিএডিসি, কৃষি গবেষণা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা, উপজেলা ও মাঠ পর্যায়ের প্রায় ৪০ জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এ কর্মসূচির আওতায় ০৯৬৭৮৭৭৪৪২২ নম্বরে কল করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে খুব সহজেই আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুয়ায়ী করণীয় সম্পর্কিয় তথ্য বাংলায় লিখিত ক্ষুদে বার্তা বা কণ্ঠ বার্তা পেয়ে প্রায় ৫ হাজার আলু চাষি উপকার পেয়েছেন। এতে আলু চাষিগণ মড়ক রোগ প্রতিরোধসহ উচ্চ ফলন নিশ্চিতকরণ এবং একই সাথে উৎপাদন খরচ কমাতে সক্ষম হবেন। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন আলু চাষিগণ প্রতি বছর মড়ক রোগের কারণে বেশ ক্ষতির সম্মুখিন হয়ে থাকেন। তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর এ ধরণের সেবা চালু থাকলে আলু চাষিরা মড়ক রোগের কারণে সম্ভাব্য ক্ষতি এড়িয়ে যেতে সক্ষম হবেন। বিশেষ অতিথি কৃষিবিদ কৃষিবিদ ড. মো. সরওয়ারুল হক বলেন রংপুর অঞ্চলে সাধারণত মড়ক রোগের প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। এ এলাকায় আগাম সতর্ক বার্তা আলু চাষিদের জন্য সুসংবাদ বয়ে আনবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আঞ্চলিক বেতার কৃষি অফিসার বলেন প্রাথমিক পর্যায়ে রংপুর জেলায় প্রায় ৩৫ হাজার কৃষকের মাঝে এ সেবা দেয়া হবে। তিনি আরও বলেন কৃষি তথ্য সার্ভিসের কৃষি কল সেন্টারের ১৬১২৩ নম্বরের ফোন করেও এ সেবাটি পাওয়া যাবে।